সাইকেল চালানো হলো মূলত পরিবহন, বিনোদন, ব্যায়াম বা খেলাধুলার জন্য সাইকেলের ব্যবহার, যাকে বাইকিং বা বাইসাইক্লিংও বলা হয় । যারা সাইক্লিং করে থাকেন তাদেরকে সাইক্লিস্ট, বাইকারস বা মাঝে মাঝে বাইসাইক্লিস্টসও বলা হয় । শুধু মাত্র দুই চাকার সাইকেল ছাড়াও একচাকার সাইকেল, তিন চাকার সাইকেল, চার চাকার সাইকেল এমনকি একই ধরনের মানুষ চালিত যেকোন যানবাহন চালানোও সাইক্লিং-এর অন্তর্ভূক্ত (এইচপিভি) ।
বাইসাইকেল ১৯ শতকে উদ্ভাবিত হয়েছিল এবং সারাবিশ্বে এখন প্রায় ১০০ কোটির মত বাইসাইকেল রয়েছে । বিশ্বের অনেক জায়গায় এটি এখন প্রধান পরিবহনের মাধ্যম ।
সংক্ষিপ্ত থেকে মাঝারি দূরত্বের ক্ষেত্রে সাইকেল চালানোকে খুবই ফলপ্রসূ এবং পরিবহনের কার্যকরী উপায় হিসেবে ধরা হয় । মোটর গাড়ির তুলনায় বাইসাইকেল অনেক বেশি সুবিধা দিয়ে থাকে, যেমন- সাইক্লিং, সহজ পার্কিং, সহজেই নড়াচড়া করা ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদির কারণে স্থায়ী শারীরিক ব্যায়াম করা যায় এবং এর দ্বারা রাস্তা, সাইকেলের পথ ও গ্রামীণ সড়কে সহজে প্রবেশ করা যায় । সীমিত জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার, স্বল্প বাতাস ও শব্দ দূষণ এবং খুবই অল্প পরিমাণে যানজট সৃষ্টির মত সুবিধাও সাইক্লিং দিয়ে থাকে । এটি ব্যবহারকারী তথা সমাজের আর্থিক খরচ বিশাল ভাবে কমিয়ে আনে (খুবই সামান্য রাস্তার ক্ষতি, অল্প পরিমাণ রাস্তার ব্যবহার) । বাসের সামনে বাই সাইকেল রাখার তাকের ব্যবস্থা করে পরিবহন এজেন্সিগুলো তাদের সেবা দেওয়ার পরিধি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে পারে ।
সাইক্লিং এর অসুবিধার মধ্যে রয়েছেঃ সোজাভাবে থাকার জন্য চালককে বাইসাইকেল এর ভারসাম্য বজায় রাখা, মোটর গাড়ির তুলনায় সংঘর্ষে কম সুরক্ষা, প্রায়ই ভ্রমণের দীর্ঘসূত্রিতা, আবহাওয়ার অবস্থার উপর নাজুকতা, যাত্রী পরিবহনে অসুবিধা এবং মূল কথা হচ্ছে মাঝারি থেকে লম্বা দূরত্বের সাইক্লিং করার জন্য মৌলিক পর্যায়ের শারীরিক যোগ্যতা দরকার ।
Elias Hasan Sohag | ehsohag
0 Comments